বাংলাদেশ একটি গ্রামভিত্তিক দেশ। আমাদের গ্রামীণ সমাজই বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি। এ সমাজে ন্যায্যতা, সাম্য ও শান্তি নিশ্চিত না করা হলে উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। গ্রামাঞ্চলে বিচারিক সেবা বঞ্চিত দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠির জন্য ন্যায় বিচারের সুযোগ প্রসারিত করার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থায়ীভাবে মিমাংসাযোগ্য বিরোধ নিস্পত্তিকে আরো ফলপ্রসূ ও প্রতিষ্ঠানিক ভিত্তি প্রদানের লক্ষ্যে ইউনিয় পরিষদসমূহকে ১৯৭৬ সনে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ-এর মাধ্যমে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয় যা ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইনে রুপ লাভ করে। গ্রাম আদালত প্রকল্পের অভিজ্ঞতা ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১৩’ পাশ হয়েছে যেখানে গ্রাম আদালতের আর্থিক এখতিয়া বৃদ্ধি করা সহ কিছু উল্লেখযোগ্য সংশোধনী আনা হয়েছে যার ফলে স্থানীয় জনগণের ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত আরো জোরালো ভূমিকা পালন করতে পারবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস